ক্রিকেট
এই বিশ্ব নাম জানা-অজানা অনেক খেলা রয়েছে। তাদের মধ্যে বেশকিছু খেলার সঙ্গে আমরা পরিচিত। এবং আমরা কম বেশি সবাই খেলে থাকি। তার মাঝে একটি হলে ক্রিকেট।
এই ক্রিকেট কে নিয়ে সারাবিশ্বে অনেক ধরনের কথা প্রথা চালু আছে। ক্রিকেট সাধারনত তো তিন ফরম্যাট হয়ে থাকে।
১.ওয়ানডে মানে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাস যেটি মূলত 50 ওভারের হয়ে থাকে
২.t20 যেটি মূলত 20 ওভারের হয়ে থাকে।
৩.টেষ্ট যেটিতে কোন ওভার এর বাধ্য বাধকতা নেই।
E-TIN সার্টিফিকেট রেজিস্ট্রেশন
আমাদের আজকের আলেচিত বিষয় t20
এই সর্টফরমেটের খেলাটি সারাবিশ্বে হয়ে থাকে অনেক দেশ তাদের নিজ দেশের নামে এটি কে লিগ খা্েলায় পরিচালেনা করে থাকে যেমন বাংলাদেশ Bpl, পাকিস্তান pcl ভারত ipl নামে পরিচালিত করে থাকে। আমরা আজ জানব ipl যেভাবে লাভ করে থাকে
আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা যেভাবে লাভ করেন।
নিলামের সময় আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো খেলোয়াড় কেনার জন্য টাকার বস্তা নিয়ে বসেই পছন্দের খেলোয়াড় কিনার জন্য চলে থাকার লড়াই কোন কোন ক্রিকেটারের পেছনে তারা ব্যয় করেন 15 থেকে 20 কোটি রুপি । এ বিপুল অর্থ ব্যয় দেখে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা অর্থ ব্যয় করছেন এতে তাদের লাভ কি। পিংবাক তারা এত অর্থ ব্যয় করি কতটুকু লাভ করতে পারেন । এখানে মনে রাখতে হবে আইপিএলের জ্বালাতন কিনেছেন তারা ক্রিকেটকে ভালোবেসে টাকা উড়াতে আসেননি আইপিএলে যারা ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক তারা প্রায় প্রত্যেকেই বড় বড় ব্যবসায়ী । তাদের কাছে ক্রিকেটের চেয়ে নিজের পকেট ভারী করাই মূল লক্ষ্য একারণেই আইপিএলের অনেক দল মাঝে ক্রিকেটে বাজে পারফরম্যান্স করলেও মালিকদের হতাশ হতে দেখা যায় না । তাহলে মাঠে ক্রিকেট যদি মুখ্য না হয় তাহলে প্রাণীরা কিভাবে লাভবান হন চলুন জেনে নেয়া যাক। মিডিয়ার শক্তি আইপিএলের দলগুলোর আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস হচ্ছে মিডিয়া শব্দ থেকে পাওয়া অর্থ মিডিয়া সত্যবতী আইপিএলের ম্যাচ গুলো টেলিভিশন ও অন্যান্য অনলাইন প্লাটফর্ম এ যারা প্রচার করেন তাদের থেকে পাওয়া অর্থ কী বোঝায় কিভাবে এই অর্থ বিসিসিআই গ্রহণ করে পরবর্তীতে নির্দিষ্ট হারিতা দলগুলোকে ভাগ করে দেয়া হয়। তবে এক্ষেত্রে যে দল টুর্নামেন্টের যতদূর পর্যন্ত যাবে তাদের মিডিয়া শক্তির পরিমাণ অত্যন্ত বেশি হবে। অর্থাৎ যে দলগুলো প্লেয়ার খেলবে তারা অবশ্যই রাউন্ড-থেকে বাদ পড়া দলগুলোর চেয়ে বেশি অর্থ থেকে আইপিএলে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো 60 থেকে 70 পার্সেন্ট আয় করে থাকে brand স্পনসর্শিপ আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো ।
আয় দ্বিতীয় প্রধান উৎস হচ্ছে brand স্পনসর্শিপ প্রতীক্ষিত একাধিক কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ থাকে সেই কোম্পানির নাম তাদের জাতীয় অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রদর্শনের মাধ্যমে আয় করে থাকে স্পন্সর হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে যে যত স্পষ্ট ভাবে নিজেদের নাম প্রচার করতে চাই তাদের ততবেশি অর্থ দিতে হয় বিশেষ করে দেশের জার্সিতে বুকেও পেছনে খেলোয়াড়ের নামে নিচে যে কোম্পানির লোগো থাকে তাদের বেশি অর্থ দিতে হয় আর হাতায় বা অন্য কোথাও ছোট করে কোন কম্পানি লোগো বানাতে চাইলে তুলনামূলক কম খরচ করতে হয় আইপিএলের দলগুলোর 20 থেকে 30 শতাংশ আসে brand sponcer থেকে টিকিট বিক্রি আইপিএলের টিকিট বিক্রি থেকে আসা অর্থের বড় অংশ চলে যায় স্বাগতিক দলের খেলা হচ্ছে তারাই টিকিট বিক্রির অর্থ পাবে সেটা শতাংশের কাছাকাছি আইপিএলের নির্ধারণ করে থাকে তবে এখানে খেলা হচ্ছে সেখানকার মানুষের জীবনযাত্রার মানকে বিবেচনা করে নির্ধারণ করা হয় টিকিটের দাম যেন দর্শকদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হয় আইপিএলের দলগুলোর আই এর 10% আসে টিকিট বিক্রি থেকে প্রাইস মানি প্রাইস মানি থেকেও আইপিএলের দলগুলোর মোটা অঙ্কের অর্থ বিভাগের 2009 সালে চ্যাম্পিয়ন দলকে পুরস্কার হিসেবে 20 কোটি রুপির অর্থ প্রদান করা হয়েছিল আর রানার আপ এর জন্য ছিল 12.5 কোটি রুপি। প্রাইজ মানি মূলত দুই ভাগে ভাগ হয়ে থাকে আর বাকি অংশগুলো পায় ফ্রানচাজি।গতবছর করোনার কারণে আইপিএল প্রাইজমানি কমে অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছিল 2020 মৌসুমী যারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তাদের 10 কোটি রুপির আর রানার্স আপ দল কে 6.25 কোটি রুপি দেয়া হয় পারসেন্টেন্স বিক্রি আইপিএলের দলগুলোর সামান্য একটি অংশ আসে বিভিন্ন ধরনের মার্চেন্ডাইস বিক্রি থেকে ফুটবলের মত ক্রিকেটে এটি এখন ও জনপ্রিয়তা নিতে পারেনি। তবে আশা করা যায় সামনের দিনগুলো ক্লাবের জার্সি এবং উপযুক্ত ঘড়ি ব্যাগ ইত্যাদি বিক্রি করে বিসিসিআই সেন্ট্রাল পুলিস বিসিসিআই অফিশিয়াল স্পন্সরশীপ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ পেয়ে থাকে।এগুলো নিধারিত হয় সেন্ট্রাল পুল বিসিসিআই সেন্ট্রাল থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো কি পরিমাণ অর্থ পাবে তা বেশ কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে তবে সবচেয়ে বড় বিবেচ্য বিষয় হলো লিগ টেবিল দল' গুলোর অবস্থান। ম্যাচ চলাকালীন দর্শকরা যাতে খাবার ও পানীয় কিনতে পারে সেজন্য স্টেডিয়ামের ভেতরে বিভিন্ন স্টল বসে। তবে এসব স্টল ফ্র্যাঞ্চাইজিরা পরিচালনা করেন না। তারা কোনো তৃতীয় পক্ষের কাছে স্টল ভাড়া দেয়। এবং তার বিনিময় অর্থ পায়।